শীতকালীন হলুদ সবজি হিসেবে পরিচিত গাজর সারা বছরই পাওয়া যায়। ভিটামিন এ সমৃদ্ধ এই সবজিটির রয়েছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা। গাজরে ক্যালসিয়াম, লৌহ, ফসফরাস, ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। এই সবজিটি কাঁচা খাওয়া যায় তাছাড়া সালাদ হিসাবে খাওয়া হয়। গাজর দিয়ে নানা রকম মুখরোচক রেসিপি তৈরি করা যায়। তারমধ্যে গাজরের হালুয়া সবচাইতে বেশি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু।
গাজর চাষ পদ্ধতি
বাংলাদেশ সব জায়গাতেই গাজর ভালো জন্মায়। গাজর চাষ করার জন্য বেলে দোআঁশ বা দোআঁশ মাটি নির্বাচন করতে হবে। গাজর ক্ষেতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
গাজর ক্ষেত তৈরি করতে মাটি ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে তৈরি করে নিতে হবে এবং মাটিকে ঝরঝরে করে নিতে হবে। গাজরের বীজ সারিবদ্ধ ভাবে বপন করা উত্তম এতে চারা গজানোর পর যত্ন নিতে সুবিধা হবে। গাজরের বীজ খুব ছোট হয়ে থাকে তাই বপন করার সময় বীজের সাথে ছাই বা মাটি মিশিয়ে বপন করতে হবে।
গাজর চাষে হেক্টরপ্রতি নিচের মাত্রা অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে।
-গোবর ১০ টন
-ইউরিয়া ১৫০ কেজি
-টিএসপি ১২৫ কেজি
-এসওপি/এমপি ২০০ কেজি
-সম্পূর্ণ গোবর ও টিএসপি এবং অর্ধেক ইউরিয়া ও এমপি সার জমি তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে।
-বাকি অর্ধেক ইউরিয়া সমান দুই কিসিৱতে চারা গজানোর ১০-১২দিন ও ৩৫-৪০ দিন পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
-বাকি অর্ধেক এমপি সার চারা গজানোর ৩৫-৪০ দিন পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
গাজরের স্বাস্থ্য উপকারিতা
- গাজরে ভিটামিন সি এবং ক্যালরি রয়েছে যা আপনার চুল এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। যাদের চুল পড়া সমস্যা আছে বা স্কিন ডিজিজ প্রবলেম আছে তাদের প্রচুর পরিমাণে গাজর খাওয়া উচিত।
-ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা বেশি পরিমাণে ফাইবার খেলে গ্লুকজ মেটাবলিজম উন্নতি লাভ করে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের গাজর খাওয়া আবশ্যক।
- গর্ভাবস্থায় গাজরের রস খেলে ক্যালসিয়ামের অভাব হয়না তাছাড়া যারা শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ান তাদের প্রতিদিন গাজরের রস বা জুস করে খাওয়া উচিত।
- গাজর হজমের জন্য অত্যন্ত উপকারী তাই যাদের বদহজম আছে তাদের প্রতিদিন গাজরের সালাত খাওয়া উচিত।
Share This
0 Response to "গাজরের চাষ পদ্ধতি এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা"
0 Response to "গাজরের চাষ পদ্ধতি এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা"
Post a Comment