ক্যাকটাস জাতীয় ফলের গাছ ড্রাগন । ড্রাগন গাছের কোন পাতা নেই লতানো এই গাছে আছে ছোট ছোট কাটা । ড্রাগন গাছের ফুল অত্যন্ত সুন্দর হয় তবে ফুল গুলো শধু মাত্র রাতে ফোটে এবং সকাল হওয়ার আগেই নষ্ট হয়ে যায় । পাকা ফলের শাঁস খুব নরম ও ভেতরে কালো জিরার ন্যায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য বিচি থাকে। ড্রাগন ফল খেতে হালকা মিষ্টি ও দারুন পুষ্টিকর।ক্যালোরি খুব কম থাকার কারনে এই ফল ডায়াবেটিস ও হৃদরোগীরা অনায়াসেই খেতে পারেন। নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাই এই ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উত্তম। শাঁস পিচ্ছিল হওয়ায় এই ফল খেলে কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর হয়।
বাংলাদেশেও ড্রাগন খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে । ড্রাগন ফলের গাছ ব্যক্তিগত পর্যায় বা সখের বসে এবংকি বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ভাবেও ড্রাগন ফলের চাষ করা হচ্ছে । ড্রাগন ফলের উৎপত্তিস্থল সেন্ট্রাল আমেরিকায় হলেও ভিয়েতনামে এই ফল সব থেকে বেশি বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন করা হয়ে থাকে এই ড্রাগন ফলের গাছ বাংলাদেশেও খুব ভালো ফলন হচ্ছে ।
ড্রাগন ফল সাধারনত দুই রকম স্বাদের হয়ে থাকে- টক স্বাদের ও মিষ্টি স্বাদের। মিষ্টি স্বাদের ড্রাগন ফল আবার তিন প্রজাতির হয়ে থাকে।
১) লাল ড্রাগন ফল বা পিটাইয়া। এর খোসার রঙ লাল ও শাঁস সাদা। এই প্রজাতির ফলই বেশি দেখতে পাওয়া যায়।
২) কোস্টারিকা ড্রাগন ফল। খোসা ও শাঁস উভয়ের রঙই লাল।
৩) হলুদ রঙের ড্রাগন ফল। এই জাতের ড্রাগন ফলের খোসা হলুদ রঙের ও শাঁসের রঙ সাদা।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
- ড্রাগন ফলে ক্যালোরি খুব কম থাকার কারনে এই ফল ডায়াবেটিস ও হৃদরোগীরা অনায়াসেই খেতে পারেন।
- ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি বেশি থাকার ফলে এই ফল খেলে আমাদের শরীরের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ হয়। লাল শাঁসের ড্রাগন ফল থেকে বেশি পরিমানে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
- আয়রন থাকার কারনে এই ফল খেলে রক্ত শূন্যতা দূর হয়।
- নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই এই ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উত্তম।
- ড্রাগন ফলের শাঁস পিচ্ছিল হওয়ায় এই ফল খেলে কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর হয়।
- ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমানে পানি থাকার কারনে এই ফল খেলে শরীরের পানি শূন্যতা সহজেই দূর হয় ।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ
প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলের প্রায় ৫৫ গ্রামই খাওয়ার যোগ্য। প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফল থেকে আমরা পাই– পানি–৮০-৯০ গ্রাম প্রোটিন-০.১৫–০.৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট–৯–১৪ গ্রাম চর্বি–০.১–০.৬ গ্রাম আঁশ–০.৩–০.৯ গ্রাম ক্যালসিয়াম–৬-১০ মিলিগ্রাম আয়রন–০.৩–০.৭ গ্রাম ফসফরাস–১৬-৩৬ মিলিগ্রাম নায়াসিন–০.২–০.৪৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি–৪-২৫ মিলিগ্রাম


0 Response to "ভিনদেশী ফল ড্রাগন সম্পর্কে কিছু তথ্য ।"
Post a Comment